বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলাকারীদের আটকের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খুলনা ও বরিশাল সিটি ভোট সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো: আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বরিশালের পরিবেশ দেখলাম, খুব ভালো ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে এটা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রথমে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও পরে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার (১২ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ দুই সিটির ভোট সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ভোটকেন্দ্রে বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্র পরিদর্শনকালে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের এই মেয়রপ্রার্থী।
সোমবার দুপুরে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ কেন্দ্রেও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম রিটানিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে দুপুর ১টার দিকে নগরীর চৌমাথা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে হাতপাথার সমর্থকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।