উৎপাদনের অপেক্ষায় আছে চারটি স্থায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট। খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন শুরু করবে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ‘চলতি বছর আমাদের বড় বড় কয়েকটি বেইজ লোড বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। এগুলো যথাসময়ে উৎপাদনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিক পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণকাজ শেষের পথে। কেন্দ্রটির সব যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে সংযোজনও করা হয়েছে। বর্তমানে এটির শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
পিডিবির সূত্র জানিয়েছে, এর বাইরে মেঘনাঘাটে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান। এরমধ্যে ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, এটি ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়াও দেশীয় কোম্পানি সামিট পাওয়ারের ৫৮৩ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। অন্যদিকে, খুলনায় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার আরেকটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সবগুলোই গ্যাসচালিত। এগুলো চালু করা সম্ভব হলে তেলের ওপর সরকারের নির্ভরতা কমবে। চলতি বছর সরকারের ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ সংকট না থাকলেও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার ১০০টি ইকোনমিক জোন নির্মাণ করছে। এসব ইকোনমিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় তিন থেকে চার বছর আগে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে দুটি গত মার্চে উৎপাদনে আসার কথঅ থাকলেও পরে সময় কিছুদিন পিছিয়ে যায়। এ বছরের শেষ নাগাদ সবগুলো কেন্দ্র উৎপাদনে চলে আসবে। বর্তমানে দেশে ১৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের আওতায় রয়েছে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন জানান, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে সংকট অনেকটাই কমে আসবে। তবে গ্যাসভিত্তিক এই কেন্দ্রগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্যাপাওয়া নিয়ে। আমরা আশা করছি গ্যাস পাওয়া গেলে সহজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে।’