প্রাণের উৎসবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত আয়োজন করতে হবে: নূর

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বাঙালির সার্বজনীন প্রাণের উৎসবগুলোর আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

বেরোবির সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, সকল অংশীজনের মিলিত প্রচেষ্টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় একদিন দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর খেলার মাঠে বসন্ত বরণ উৎসবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোঃ শরিফুল ইসলাম, বেরোবি বসন্ত উৎসব-২০২৩ আয়োজন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. নিতাই কুমার ঘোষ।

এর আগে বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাদুজ্জামান নূরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এমপি। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়ার পর উত্তরীয় পরিয়ে দেন বেরোবি উপাচার্য। আলোচনা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আশানুজ্জামান ও জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুন্তলা চৌধুরী।