সদ্য ঘোষিত সরকারের পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন প্রবাসী সাংবাদিকরা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শারজাহ বাংলাদেশ সমিতির হলরুমে ‘প্রবাসীদের পেনশন স্কিম: বাস্তবায়নের সহজ পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইইউ।
এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাত, জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যবসায়ী, সামাজিক ও বিভাগীয় কল্যাণ পরিষদসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইইউ’র সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনি। শুরুতে পেনশন স্কিমের ওপর বিশেষ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আবদুস সালাম। এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, প্রথম সচিব (শ্রম) শাহানাজ পারভীন।
বক্তারা পেনশন স্কিমে প্রান্তিক প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিদেশে থাকা মিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। এছাড়া সরকারি পেনশনের বিপরীতে প্রবাসীদের জন্য ঘোষিত প্রবাস পেনশন স্কিমকে বৈষম্যপূর্ণ উল্লেখ করে চাঁদার পরিমাণ কমানোর দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে প্রথমত চাঁদার হার কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক প্রবাসীদের কাছে যথাযথভাবে তথ্য পৌঁছাতে হবে।
এসব দাবির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, প্রবাস স্কিমে চাঁদার হার কমানো যায় কি না বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বলেন, এছাড়া পাসপোর্টের তথ্য দিয়েও পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা। তবে সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে পাসপোর্টের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বিএম জামাল হোসেন বলেন, পেনশন স্কিমের বিষয়টিতে তারা অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ পেনশনের মাধ্যমে সবার সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রবাসীদের মধ্যে এ বিষয়ে আরও জানার আগ্রহ থাকলে তা বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে জানাতে পারবেন। এজন্য আগ্রহীদে যথাযথ তথ্য সহায়তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে পেনশন কর্তৃপক্ষ ও অর্থবিভাগ থেকে প্রবাসীদের প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হবে।
এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশ লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা, জনতা ব্যাংক আবুধাবির সিইও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, জনতা ব্যাংক দুবাইয়ের ম্যানেজার জামাল হোসেন, জনতা ব্যাংক আবুধাবির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হাবিব উল্লাহ।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, সহ-সভাপতি ও বরিশাল বিভাগ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রাজা মল্লিক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সমিতি শারজার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী করিমুল হক, বাংলাদেশ সমিতি আজমানের সভাপতি আবদুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক শিকদার শাফায়েত উল্লাহ, আরবান রিডারসের সংগঠক নওশের আলী, বৃহত্তর ফরিদপুর সমিতির সভাপতি বুলবুল আহমেদ মুকুল, গ্রেটার কুমিল্লা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কাউসার, এনআরবি খুলনার কোঅর্ডিনেটর প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম, জয়েন্ট কোঅর্ডিনেটর শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, বাংলাদেশ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উম্ম আল কোয়েনের সভাপতি সবুজ হাসান, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল সিটির সভাপতি মারুফ উল হক বিপুল, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, টেকনাফ সমিতির সভাপতি ড. আবদুস সালামসহ প্রায় ৬০ জন প্রবাসী।
