পুড়ছে ফ্রান্স, কনসার্টে নাচছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। দেশের বিভিন্ন শহরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। বিপণিবিতানে চলছে লুটপাট। ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করেছে পুলিশ।

দেশজুড়ে চলমান এই অস্থিতিশীল অবস্থার মাঝেও স্ত্রীকে নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে কনসার্টে নাচতে দেখা গেছে। তার নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাজধানী প্যারিসে ছিল বরেণ্য সংগীতশিল্পী স্যার এলটন জনের কনসার্ট। সে আয়োজনে স্ত্রী ব্রিজিতকে সাথে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্রোঁ।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট আর টাই পরিহিত ম্যাক্রোঁ স্ত্রীকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কনসার্টে গানের তালে দুজনকে উদযাপন করতে দেখা গেছে।

কনসার্টের পর স্যার এলটন জনের সঙ্গী ডেভিড ফুরনিশ একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা গেছে, মঞ্চের পেছনে এলটন, ডেভিড, ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিত পোজ দিয়েছেন। ছবির ক্যাপশনে ডেভিড লিখেছেন, ‘প্যারিসে মঞ্চের পেছনে।’

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যখন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কনসার্ট উপভোগ করছিলেন, তখন বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরের রাজপথে। দ্বিতীয় রাতের মতো রাজপথে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে, চলছে লুটপাট। পুলিশও সমানতালে করছে ধরপাকড়।

গত মঙ্গলবার প্যারিসের শহরতলির নঁতের একটি তল্লাশিচৌকিতে নেহাল (১৭) নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিশ কর্তা। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ, এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

এ ঘটনার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার আইনজীবীর মাধ্যমে নেহালের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী লরেন-ফ্রাঙ্ক লিওনার্দ। এতেও বিক্ষোভে ভাটা পড়েনি। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।