কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর কার্যত শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা।
অন্যদিকে, কাগজে-কলমে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার যে ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকু রয়েছে তা টিকিয়ে রাখতে সামনের তিন ম্যাচ জিততেই হবে তাদের। সেমির সম্ভাবনা না থাকলেও টাইগারদের জন্যও খুবই গুরুত্বপুর্ন ম্যাচ এটি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলার অনেকটা নির্ভর করছে বাংলাদেশের এ ম্যাচ জেতার উপর। ফলে হাইভোল্টেজ একটা ম্যাচই দেখতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
প্রথম ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই ভরাডুবির পর টাইগারদের সামনের তিন ম্যাচ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রেলিগেশন লিগের সাথেও তুলনা করছেন অনেকেই। শেষ চারে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আসা দলের জন্য বাস্তবতা অনেকটা তা-ই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের শেষ তিন দলের মধ্যে অবনমন আর টিকে থাকার লড়াইকেই রেলিগেশন লিগ বলে। এই পর্বে ভালো খেলে একটি দল টিকে যায়, আর প্রথম বিভাগে নেমে যায় পয়েন্টে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকা দুই দল। ঠিক তেমনই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পেতে বাকি তিন ম্যাচ মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
অন্যদিকে, প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আসরটি ঠিকঠাকই শুরু করেছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচ থেকেই শুরু ছন্দপতন। টানা চার হারে তাদের সেমিফাইনাল সম্ভাবনা অবশ্য এখনো মিলিয়ে যায়নি। তবে অনেকটা ‘যদি-কিন্তু’ নির্ভর হয়ে গেছে। তাই বিপন্নতা কম নয় বাবরদেরও, জিততে হবে বাকি সবক’টি ম্যাচই।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে দু’দলের। এর আগে বিশ্বকাপে দু’বারের দেখায় উভয় দলই একবার করে ম্যাচ জিতেছে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৩৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৫টিতে এবং পাকিস্তানের জয় ৩৩টিতে। সবশেষ দেখায় এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিলো বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচে দলে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। অফ স্পিনার মাহাদী হাসানের জায়গায় দলে ফিরেছেন তাওহিদ হৃদয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দলে রয়েছে তিনটি পরিবর্তন। ফখর জামান, আগা সালমান ও উসামা মির যুক্ত হয়েছেন দলে। বাদ পড়েছেন দিয়েছেন ইমাম-উল-হক, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।
পাকিস্তান একাদশ:
ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, উসামা মির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।