ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ যাত্রী। শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন সরকার সাংবাদিকদের দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যাত্রীবাহী একটি বাস পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে একটি পুকুরে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অবস্থায় অন্তত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪০ জনের মত যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসে বাসটি।
এর আগে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে ঠিক কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মারা গেছেন সেই তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামকস্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা নিজেরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।