নিয়ন্ত্রণহীন ফ্রান্সের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের কথা শুনছেনা বিক্ষুব্ধরা

পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স। এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ ও সাঁজোয়া যান নামিয়েছে দেশটির প্রশাসন।

মঙ্গলবার ওই কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনার পর চতুর্থ দিনে গড়ালো বিক্ষোভ। শুক্রবার রাতেও প্যারিসে বহু দোকানপাটে লুটপাট করেছে বিক্ষোভকারীরা। বহু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিক্ষোভ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের সন্তানদের বিক্ষোভে অংশ নিতে না দেন। তবে তার এ আহ্বানে সাড়া পাওয়া যায়নি।

এছাড়া সাধারণ মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, সেটিও মানেনি বিক্ষোভকারীরা। চারদিন ধরে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করা হলেও এটি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

গত রাতে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে লিঁও শহরে। ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৩৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

শহরটির সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করেছেন, যদি আরও পুলিশ মোতায়েন না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি সামনে আরও খারাপ হবে।

এদিকে, বিক্ষোভ চলার মধ্যে, র্যুঁতে এক যুবকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম। খবরে বলা হয়েছে, একটি সুপারমার্কেটের ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের কেউ ছিলেন কিনা অথবা সেই সুপারমার্কেটে লুটপাট করতে গিয়েছিলেন কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য ওই সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এখানে কোনও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।