নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও বিতরণের দায়িত্ব আর নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে যাচ্ছে এনআইডির সকল কার্যক্রম।

২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় থেকে নির্বাচন কমিশন এনআইডি সেবা দিয়ে আসছিল দেশের মানুষকে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করতে নতুন একটি আইনের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনে নতুন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন পায়। সোমবার তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।

এ আইন পাস হলে দেশের সব নাগরিককে একটি করে স্বতন্ত্র ‘আইডি নম্বর’ দেওয়া হবে। এই আইডি নম্বরই হবে যে কোনো ব্যক্তির পরিচিতি নম্বর। জন্মের পরই এই আইডি নম্বর দেওয়া হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে একজন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম নিবন্ধনের নম্বর, পাসপোর্টের নম্বর ভিন্ন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হল… সকল নাগরিকের ইউনিক নম্বর থাকা দরকার। সবার ইউনিক নম্বর থাকবে। সেটি দিয়েই তাকে চিহ্নিত করা হবে। জন্মের পর থেকে এই নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবে। নতুন নিবন্ধক এটি করবেন। সফটওয়্যার বা যন্ত্রপাতি যা লাগবে সেগুলো সরকার দেবে। নিবন্ধক তার সুবিধামত অফিস স্থাপন করবেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইন পাস হওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পরিচালিত হবে। যে কোনো নাগরিক জন্মের পর পরই নাগরিক সনদ বা নম্বর পাবে, এটি অপরিবর্তনীয় হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পর নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এখন যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তাদের এনআইডি নম্বর অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি নম্বর কন্টিনিউ হবে। যাদের এনআইডি নম্বর হয়নি তারা এখান থেকে নতুন নম্বর পাবে। যখন এই নম্বর পেয়ে গেল, আর কোনো নম্বর লাগবে না।’

মাহবুব হোসেন জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পর একজন নিবন্ধক এসব কাজ করবেন। তার আওতাধীন জনবল কাঠামো থাকবে। বিধি দিয়ে এসব নির্ধারণ করা হবে।