নাটরের বাগাতিপাড়ার ফাগুয়ারদিয়াড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু সুলতানের অসহায়ত্বের কথা জেনে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের নির্দেশনায় রাজধানীর ঝাউচরের জাকির হোসেনের রিক্সা গ্যারেজে ছুটে আসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। এরপর গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল আসেন। তাৎক্ষণিক টিপু সুলতানের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নগদ অর্থ দিয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন এই দুই নেতা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুহূর্ত নিউজকে তিনি জানান, ‘আমি নাটোরের বাগাতিপাড়ার টিপু সুলতানের অসুস্থতার কথা জেনেছি, জানার সাথে সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে তার চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয় তা করতে অনুরোধ করেছি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান মুহূর্ত নিউজকে বলেন, আজ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাটোরের টিপু সুলতানের সার্বিক খোঁজ খবর নিতে গেছেন। তারা ফিরে আসলে আমরা সকলে মিলে টিপু সুলতানের উন্নত চিকিৎসার জন্য যা করার সেটা করবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, আমি ছাত্রলীগের ভাই টিপু সুলতানের অসুস্থতার কথা শোনা মাত্রই রিক্সা গ্যারেজে ছুটে এসেছি। আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব টিপু সুলতানের চিকিৎসার জন্য তাই করবো। আমি এবং টিপু উভয়ই ছাত্রলীগের, সেহেতু আমরা ভাই ভাই। ভবিষ্যতেও টিপু সুলতানের যে কোন বিপদে আপদে ছাত্রলীগ পরিবার পাশে থাকবে বলে জানান এই নেতা।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল জানান, যখন জানতে পেরেছি আমার ছাত্রলীগের ভাই দীর্ঘ তিন বছরের উপরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেও রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং তিনি কোনো সহযোগিতা পাননি, আমরা মানবিক জায়গা থেকে ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য টিপু সুলতানের কষ্ট লাঘব করতে পারি সেজন্য ছুটে এসেছি। ছাত্রলীগের কোনো একটা সদস্য যদি কষ্টে থাকে সেটা আমাদের জন্যও কষ্টদায়ক।
নাসির আরও জানান, যেসব জনপ্রতিনিধি ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর বিপদের কথা শুনেও পাশে দাঁড়াতে পারেনা তারা জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। আমরা চাই তৃণমূলের ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী ভালো থাকুক। টিপু সুলতানের চিকিৎসা ও আগামীতে যাতে কাজ করে খেতে পারে সেজন্য চিকিৎসার পর কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমি টিপু সুলতানের চিকিৎসার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ জানিয়েছি। এর আগে করোনা সংক্রমণের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন সৈকত।
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদেমুল বাশার জয় বলেন, টিপু সুলতানের চিকিৎসার ব্যাপারেছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ তার নিজ অবস্থান থেকে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।