নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা হলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সর্ববৃহৎ আবাসিক হল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আলোকসজ্জা, মেধাবৃত্তি, ও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে হল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার দুপুরে বঙ্গমাতা হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও সাংবাদিক সাদিয়া আফরিন মল্লিক। এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছায়াসঙ্গিনী ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। অন্দর মহলে থেকেও বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সকল কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি আজীবন সুখে দুঃখে সংকটে সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সহযাত্রী ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতার যে অবদান এতদিন তা ছিল অস্বীকৃত, অনালোচিত কিন্তু এখন সময় এসেছে তা পাল্টে দেয়ার।’

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আমরা যখন এই হল ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিই তখন অনেক সংকট ছিল, এখনো আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কেউ যদি হলে না থাকে তাহলে জীবন আরও বেশি অসম্পূর্ণ থাকে। সেদিক থেকে এই হলের ছাত্রীরা অনেক ভাগ্যবান। তোমরা একটা পরিবারের মতো এখানে আছো। এটিই সবচেয়ে বড় জিনিস। পরিবার, যুথবদ্ধতা এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।’

এছাড়া, আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাবরিনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক বনু রশীদা মীমসহ অন্যরা। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা।