দেশের নয়টি সেতু ও দুটি মহাসড়কে বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক টোল ব্যবস্থা (ই-টোল) চালু করতে যাচ্ছে সরকার। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের পর থেকে এসব সেতু বা সড়কে ই–টোল ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এসব সেতু ও সড়ক সওজের আওতাধীন।
ই-টোলের আওতাভুক্ত সেতুগুলো হলো- চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতু, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা সেতু, কুমিল্লার গোমতী সেতু, নরসিংদীর ভৈরব সেতু, পটুয়াখালীর পায়রা সেতু, খুলনার খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, নরসিংদীর চরসিন্দুর সেতু ও শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু এবং পাবনার লালন শাহ্ সেতু। আর দুই সড়কের মধ্যে আছে নাটোরের আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক।
ই-টোল যেভাবে দিতে হবে:
সওজের বিজ্ঞপ্তিতে ই-টোল দেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নেক্সাস পে’, ‘রকেট’ ও ‘উপায়’ অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোলের সুবিধা চালু হবে। টোল দেওয়ার জন্য গুগলের প্লে স্টোর থেকে অ্যাপগুলো ডাউনলোড করতে হবে।
‘নেক্সাস পে’–এর টোল কার্ডের ‘অ্যাড ভেহিকেল’ অপশনে গাড়ির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর কার্ডে টাকা যোগ করতে হবে। কার্ডের এই টাকা ব্যবহার করে ই-টোল দিতে হবে। সেতু বা মহাসড়কের ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করতে হবে।
‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে গাড়ির সব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপ দিয়ে ই-টোল দেওয়া যাবে। এ ছাড়া *২৬৮# ডায়াল করে গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
‘রকেট’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা ব্লু বুকের ছবি এবং রকেট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে মেইল করতে হবে rocket.toll@dutchbanglabank.com এ। রকেটে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে মোবাইলে *৩২২# ডায়াল করে টোল কার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং রকেট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থেকে প্রয়োজনীয় টাকা টোল কার্ডে স্থানান্তর করে ই-টোল দেওয়া যাবে।
এ ছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা বা ফাস্ট ট্র্যাকে গিয়েও ই-টোল দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
রকেট, উপায়ের হটলাইনে ফোন করে এ–সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।