তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: সময়ের সাথে কমছে জীবিত উদ্ধারের আশা

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা ততই কমে আসছে। এখনো জানা যায়নি নিখোঁজ নারী-পুরুষ ও শিশুর সঠিক সংখ্যাও। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। পরিবারগুলোর দাবি, সরকার যথাসময়ে ঠিকভাবে সাড়াদানে ব্যর্থ হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনো আটকে আছেন অনেকেই। আর যাদের জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে, ক্ষুধার পাশাপাশি প্রচণ্ড ঠান্ডার ধকলও সামলাতে হচ্ছে তাদের।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উদ্ধারকাজে ধীরগতির অভিযোগ মেনে নিয়ে জানান, ভূমিকম্পের কারণে সড়ক ও বিমান যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজের গতি বাড়বে।

তুরস্ক ও সিরিয়া সরকারের হিসাব মতে, সাত দশমিক আট মাত্রার এ ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি প্রদেশে মারা গেছেন ১২ হাজার ৩৯১ জন। আর সিরিয়ায় চারটি প্রদেশে দুই হাজার ৯৯২ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, দুই দেশে মৃত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য তার সরকারের সক্ষমতা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকায় সিরিয়া এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।