বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কেও। প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে দুই দেশই। সম্প্রতি সেই অচলায়তন ভাঙার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেলেও, বিশেষ কোন অগ্রগতি হয়নি। এরইমধ্যেই তাইওয়ানকে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় হোয়াইট হাউস। বাণিজ্য বিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও দুই দেশের বৈরী সম্পর্কের আরেকটি কারণ তাইওয়ান ইস্যু। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করলেও, সেটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাইওয়ানকে নানা ধরনের সহায়তা করে আসছে ওয়াশিংটন। আর এটিকে ভালভাবে নেয়নি বেইজিং।
সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বেইজিং সফর করেন। তবে মার্কিনিদের এই ঘোষণা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, সহযোগিতার অংশ হিসেবে মূলত সামরিক প্রশিক্ষণ বাবদ তাইওয়ানকে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেয়া হবে।
১৯৭৯ সালে বেইজিংকে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিলেও দেশটি তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মিত্র। তাইওয়ানের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় অংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।