জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৯জুন) বেলা ১২টা’র দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজ ভবনের ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে সোহেল রানা নামের ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোহেল রানা অর্থের বিনিময়ে নাজমুল হকের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৩য় শিফটে স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর কক্ষে মোঃ নাজমুল হক নামের এক ভর্তিচ্ছুর হয়ে প্রক্সি দিতে আসেন সোহেল রানা। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থীর পিতার, নাম জন্ম তারিখ জানতে চান তিনি। এসময় রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সাথে তার দেয়া তথ্যের গড়মিল পাওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে পাঠান। প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন সোহেল।
আটক সোহেল রানা জানিয়েছে, ইমন নামের এক বড় ভাইয়ের পরীক্ষার্থী নাজমুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার চুক্তি হয়। এর আগে গতকাল ওই শিক্ষার্থীর হয়ে ‘সি’ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বি’ ইউনিটের ৩য় শিফটের পরীক্ষার সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তিনি এখন আমাদের জিম্মায় আছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতও আছে। তার ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
রোববার থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরিক্ষা শুরু হয়েছে।