জাবিতে গণরুম-গেস্টরুম বন্ধে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম, গণরুম প্রথা বন্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক ও ছাত্রী হলগুলো ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সবকয়টি হল খুলে দাও, খুলতে হবে। গণরুমের কবর খুঁড়ো, গেস্টরুম প্রথা বন্ধ করো। যেই হাত শিক্ষার্থী মারে সেই হাত ভেঙে দাও; গণরুমের বঞ্চনা, আর না আর না, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো অবিলম্বে গণরুম সংস্কৃতি বিলোপ করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে বহিস্কার করতে হবে। নতুন সব হল চালু করে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ  নিশ্চিত করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে ডাইনিং গুলোকে মানসম্মত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের হলে সিটের ব্যবস্থা না করতে পারলে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকার দরকার নেই দাবি করে জাবি ছাত্রফ্রন্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক কনজ কান্তি বলেন, সারাদেশে থেকে মেধাবী ছেলে মেয়েরা এখানে আসে কিন্তু এখানে গণরুমে ঠেলে দেওয়া হয় তাদের। তাদের স্বপ্নকে হত্যা করা হয় এভাবে।

তিনি আরও অভিযাগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাদের মাদক সেবনের রুম থাকে আর নবীন শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা হয় না। এই কলঙ্কিত ইতিহাস আমরা আর বহন করতে চাই না।

বিশ্ববিদ্যালয়  সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাকি প্রথম শ্রেণির নাগরিক অথচ শিক্ষার্থীদের হয়েছে বস্তির মতো পরিবেশে। তারা স্বপ্ন নিয়ে আসে ক্যাম্পাসে। গণরুমের ভোগান্তিতে তাদের সে স্বপ্ন মাটিতে মিশে যায়।

আগামী পহেলা মার্চের মধ্যে দাবি মানা না হলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যখন হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তখন গণরুমে চেয়ার-টেবিল না দেখে  প্রথমেই দের স্বপ্ন ভেঙে যায়। প্রশাসনের এই গালভরা বুলিতে আমরা আর ভুলব না। এই প্রশাসনকে আমরা ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছি। পহেলা মার্চের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করবো।’