জাপান সাগরে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

নতুন করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার সকালে জাপান সাগরে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এটি কোন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, গত দুই দিন নিজেদের আকাশসীমায় মার্কিন গোয়েন্দা বিমান নজরদারি চালানোর অভিযোগ তোলে উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটন এই কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দেশটি। তার এক দিনের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং।

দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এমনিতেই বৈরী। তবে বর্তমানে যেকোন সময়ের থেকে তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাগুলো। উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে কিম জং-উনের প্রচেষ্টাই এর প্রধান কারণ।

গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো-জং দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় মার্কিন গোয়েন্দা বিমান অনুপ্রবেশ করে নজরদারি চালাচ্ছে। পরদিনও একই অভিযোগ তুলে বলেন, এমন চলতে থাকলে তাঁরা কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া না জানালেও তবে দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। রুটিন ফ্লাইট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন বিমান চলাচল করেছে। এর সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনো সম্পর্ক নেই।

দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তা সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রধান কারণ, উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে কিম জং-উনের প্রচেষ্টা। আর তাঁকে এ প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন, সিউল ও টোকিও।