দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। দুই দেশ নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এই সংকট সমাধানে চীনের সাথে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই মন্তব্য করেছেন চীন সফররত মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে যেসব উদ্বেগ আছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সরাসরি আলোচনা করা উচিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর জানিয়েছে বৈরিতা থাকলেও দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদারের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেইজিং সফর করছেন ইয়েলেন। সফরের তৃতীয় দিন শনিবার চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র-চীন রেকর্ড বাণিজ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাই দুই দেশের যুক্ততার প্রমাণ দিচ্ছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ভূত উদ্বেগগুলো নিয়ে সমঝোতার জন্য আমাদের সরাসরি যোগাযোগ করা উচিত এবং আমরা যোগাযোগ করব।’
এরপর চীনের পক্ষ থেকেও সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী। তবে ‘অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা’ এতে বাধা তৈরি করেছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই পক্ষ যেসব বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, সে বিষয়গুলো আন্তরিকভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হি লাইফেং।
হি লাইফেং ছাড়াও বেইজিংয়ে একদল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন ইয়েলেন। এ সময়‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বণ নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তিনি বলেন, এই সংকট মোকাবেলায় অর্থায়নে আমাদের সমন্বয়হীনতার সংকট চলছে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও আমরাই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একসঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’ দুই দেশ এ বিষয়ে আরো সচেতন হলে এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নেয়া আরো সহজ হবে বলেও জানান তিনি।