গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সকাল আটটার দিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভীড় চোখে পড়লেও পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবারই প্রথম গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সকালে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের অনেকেই জানিয়েছে কিছু সমস্যা থাকলেও তারা ঠিকমত ভোট দিতে পেরেছেন। বিশেষ করে ইভিএম এ ভোটারদের আঙুলের ছাপ মিলতে কিছু সমস্যা হয়েছে বলে জানান তারা। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি এবারের ভোটকে কেন্দ্র করে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছেন।
এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬জন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন ১৭ জন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৫৭টি মোবাইল ফোর্স, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে মোট আটটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত আছে। এছাড়া দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ৩০টি র্যাবের টিম এবং পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে ১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেহেতু সবকটি কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোট হচ্ছে তাই প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভোটিং মেশিন রাখা হচ্ছে। মেশিন মেরামতের জন্য ট্রাবলশুটার রাখা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। টানা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। শেষ সময়ে যারা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাদের ভোট নিতে বেশি সময় লাগলেও তা নেওয়া হবে।