শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ৪০ মিলিমিটার। আপাতত সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সিলেটবাসীর। কিন্তু দেশের অন্যত্র বৃষ্টির দেখা মিলেনি, ফলে তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
তীব্র দাবদাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই ক’দিন দেশের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, সারা দেশের কোথাও তীব্র এবং কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত অন্য কোথাও এমন সম্ভাবনা নেই।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাববাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আগামী ক’দিনও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শনিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। সিনপটিক অবস্থা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।