গবির ফার্মাসি বিভাগের প্রধান হলেন ড. মোকলেছুর রহমান

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোঃ মোকলেছুর রহমান সরকার। তার নতুন দায়িত্ব সংক্রান্ত অফিস আদেশে জানানো হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অধ্যাপক ড. মোঃ মোকলেছুর রহমান সরকারকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। এ আদেশ ০৯/০৮/২০২৩ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একাডেমিক ভবনে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে বরণ করেন। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনার আয়োজন করে বিভাগটি। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো: খালেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌসিফ ফারহান। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোঃ মোকলেছুর রহমান সরকার বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের গতানুগতিক ধারার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান। আমাদের এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমরা এখানে ইমার্জিং রিসার্চ অর্থাৎ সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করব, যাতে মানুষের সমস্যার সমাধান হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্লোবাল রিসার্চ করব, যা তারা দেশ ও দেশের বাহিরে উপস্থাপন করতে পারবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগ্য হসপিটাল ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিকুলামে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করব। শিক্ষার্থীদের দেশ কিংবা দেশের বাহিরে পিএইচডি করার যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আগামীতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার দিক থেকে বাংলাদেশের মধ্যে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।’

অধ্যাপক ড. মোঃ মোকলেছুর রহমান সরকার ক্যানসার–প্রতিরোধী ‘সুপারবুস্ট’ গবেষণা দলের প্রধান গবেষক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক, ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর এবং ২০১০ সালে জাপানের ওকায়মা ইউিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি লিংকন ইউনিভার্সিটি কলেজ (মালয়েশিয়া), মালায়া ইউনিভার্সিটিসহ (মালয়েশিয়া) বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

 এছাড়াও তার ১২২টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে রিচার্স পেপারে প্রকাশিত হয়েছে।