পেট্রোল পাম্প থেকে খোলাভাবে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোলসহ জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে লাইসেন্স থাকতে হয়। লাইসেন্স ছাড়া ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া যদি কেউ লুজ পেট্রোল বিক্রি করে আর যদি সে খবর পাই তাহলে সংশ্লিষ্ট পেট্রোল পাম্পসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপির সঙ্গে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির এক মতবিনিময় সময় এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, উত্তরখান এলাকায় অনেক লুজ পেট্রল বিক্রি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, পেট্রোল যদি কেউ বিক্রি করে সেজন্য কিন্তু লাইসেন্স লাগে। লাইসেন্স ছাড়া যদি কেউ এভাবে পেট্রোল বিক্রি করে আর আমরা যদি সে খবর পাই তাহলে সংশ্লিষ্ট পেট্রোল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কেউ যদি গোপনে বিক্রি করে তাহলে আমরা জানার পরে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
অবরোধের নামে সহিংসতা, নাশকতা, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ড্রামে বা বোতলে ভরে কোনও পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। শুধু যানবাহনে সরাসরি তেল নেয়া যাবে। যদি কোনও পেট্রোল পাম্প বা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে তবে সেটি পুলিশকে জানাতে হবে। এর বাইরে কোনও লুজ পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। লুজ পেট্রোল বিক্রি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশি ক্লিয়ারেন্স লাগবে। সুতরাং পেট্রোল বোমা প্রতিরোধ করার সুযোগ আছে।
তবে যারা নাশকতা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, তারা যদি গাড়ি থেকে পেট্রল বের করে নিয়ে যায়, সেটা কিন্তু অনেকখানি কষ্টকর। তবে পাম্প থেকে লুজ পেট্রোল বিক্রি বন্ধ তো আমরা করতে পারবো। আমাদের সবারই সচেতনতা দরকার।
তিনি পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনুরোধ করে বলেন, এর আগে কিন্তু হরতাল-অবরোধের সময় পেট্রোল পাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ম রয়েছে মাসে অন্তত একবার পেট্রোল পাম্প ভিজিট করা। আমাদের অফিসাররা অনেক সময় হয়তো ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেন না। এখন যদি আমাদের অফিসাররা যায় তাহলে সহযোগিতা করবেন তথ্য দেবেন। কোনও সমস্যা হলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন৷ পেট্রোল পাম্পের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। পুরো পেট্রোল পাম্প এলাকা যেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকে সেটি নিশ্চিত করুন।