দলবদলের মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে খরচের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। গত মৌসুম শুরুর আগেই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি খরচ করেছিল ২৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর মতো। মাঝে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে শীতকালীন দলবদলেও গাদা গাদা টাকা ঢেলেছে স্টামফোর্ড ব্রীজের দলটি। তবে এবার নতুন এক রেকর্ড গড়েছে চেলসি। ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিকের একটি প্রতিবেদন বলছে, শুধু খরচেই নয়, খেলোয়াড় বিক্রি করে আয়েও গত এক দশকে ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে চেলসিই সবার উপরে।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে চেলসি বিক্রি করেছে ৬ জন খেলোয়াড়। তাতে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ১৯ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। একে একে ক্লাব ছেড়েছেন কালিদু কুলিবালি, মাতেও কোভাচিচ, এদুয়ার্দো মেন্দি, কাই হাভার্টজ, রুবেন লফটাস-চিক ও ম্যাসন মাউন্ট। হাকিম জিয়েশের জন্য আসা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের প্রস্তাব শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে না দিলে চেলসির খেলোয়াড় বিক্রির সংখ্যা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা, দুটোই বাড়ত।
ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ এক দশকে শুধু খেলোয়াড় বিক্রি থেকে চেলসির আয় ১৩৫ কোটি। এই সময়ে খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষে চেলসি। একই সময়ের ব্যবধানে ফুটবলার কিনতে ২০৯ কোটি ইউরো খরচ করেছে দ্যা ব্লুজরা। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। সর্বশেষ এক দশকে যারা খেলোয়াড় কিনেছে ১৭০ কোটি ইউরোর। এই সময়ে সিটি খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ৬৮ কোটি ৪৩ লাখ ইউরো।
তবে খেলোয়াড় বিক্রি করে আয়ের হিসাবে সিটির চেয়েও এগিয়ে লিভারপুল। এই সময় লিভারপুল বিক্রি থেকে আয় করেছে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ইউরো, পাশাপাশি খেলোয়াড় কিনতে গিয়ে খরচ করেছে ১২০ কোটি। এরপরই যথাক্রমে টটেনহাম, এভারটন ও সাউদাম্পটনের অবস্থান। আর খরচের হিসাবে চেলসি ও ম্যানসিটির পরেই আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল ও লিভারপুল।