কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ‘অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্রে’র ‘নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতাও ছিল। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি বায়েজিত আহমেদ বাপ্পি এবং সঞ্চালনা করেন আবু হাসনাত অনিক ও ফাহমিদা সুলতানা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. মনিরুজ্জামান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক কাজী এম. আনিসুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। তারপর পুরস্কার বিতরণী শেষে আলোচনা সভা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যখন কবিতা শুনি তখন কন্ঠই বিশেষ ভুমিকা পালন করে। তাছাড়া চাকরির ভাইভায় গেলে সেখানে মার্জিত ভাষায় খুব গুছিয়ে কথা বলতে হয়। আবার বিভিন্ন সভা সমিতিতে গেলে উচ্চস্বরে আবার বাবা মায়ের সাথে নিচুস্বরে কথা বলতে হয়। অর্থাৎ স্থান ভেদে কন্ঠের পরিবর্তন করতে হয়। সুতরাং কন্ঠের এমন ওঠা নামার মধ্যে দিয়ে আমাদের মুখ থেকে সুন্দর ও মার্জিত কথা বের হয়। অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্র সেই দিকটাই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, সুন্দর কথা বলতে না পারলে আসলে ভবিষ্যতে প্লাটফর্ম পাওয়া যাবে না। আমরা বাহ্যিকভাবে সুন্দর হওয়া মানে পুরোপুরি স্মার্ট হওয়া না, যে সুন্দর কথা বলতে পারবে সে সব থেকে বেশি আর্টিস্টিক হতে পারবে। সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের একটা প্রধান মাধ্যমই হল মার্জিত ও সুন্দরভাবে কথা বলা। আর ‘অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্র’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পথ তৈরি করে দেয়। আমি বিশ্বাস করি অনুপ্রাসে যারা আছে বা এখান থেকে যারা যায় তারা সব জায়গাতেই ভালোভাবে কথা বলতে পারছে, সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারছে।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পর্ব উপভোগ করেন উপস্থিত সবাই। সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যদিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।