কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে গবেষণা মেলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা। আগামী ২০-২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দু’দিনব্যাপী এই আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর।

২০ মার্চ মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

গবেষণা মেলা সম্পর্কে আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ও ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ অংশ গ্রহণ করবে। তাদেরকে ১৯ মার্চ স্টলের জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হবে।

২১ মার্চ মেলার দ্বিতীয় দিন মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনার সুযোগ পাবে। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়া বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন’ এই মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের উদ্যোগে গবেষণা মেলার আয়োজন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরপর থেকে প্রতি বছর গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যায়। এই মেলায় প্রদর্শিত গবেষণাকর্ম দেখে ছাত্রছাত্রী, নবীন গবেষক, এমনকি যেসব শিক্ষক গবেষণায় একটু পিছিয়ে আছেন তাঁরা সবাই গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠবেন। দু’দিনব্যাপী এই মেলা সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

জ্ঞানসৃষ্টির জন্য গবেষণার কোনও বিকল্প নেই জানিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট করতে এই মেলার আয়োজন। আমরা এটি প্রতিবছর করতে চাই। এই মেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণার মনোভাব বাড়াবে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আমরা মনে করি জ্ঞানসৃষ্টির জন্য গবেষণার কোনও বিকল্প নেই। আর বিশ্ববিদ্যালয় হলো সেই জ্ঞানসৃষ্টির আধার।’