ওভাল টেস্টের বল–বিতর্কের তদন্ত চান ডিউক বল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক

অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হলেও, শেষ হয়নি অ্যাশেজ নিয়ে আলোচনা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। সিরিজের চতুর্থ টেস্টটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ওভাল টেস্টের শেষ দিনে ইংলিশদের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় বেশ ভালোই এগোচ্ছিলো অজিরা। তবে ইনিংসের ৩৭তম ওভারে মার্ক উডের একটি বাউন্সার উসমান খাজার হেলমেটে আঘাত করে। বদলাতে হয় হেলমেট ও বল দুটিকেই। তবে পরিবর্তিত বলটি আগের বলের থেকে বেশি শক্ত এবং সে কারণে ইংলিশ পেসাররা তুলনামূলক বেশি সুইং পেয়েছেন বলে দাবি করা হয় অস্ট্রেলিয়া দল থেকে। আর তাতেই উইকেট পড়ার সঙ্গে ম্যাচের মোড়ও ঘুরেছে বলে মনে করছে অজিরা। এমনকি সেই বলটি পাঁচ বছরের পুরনো বলেও শোনা যাচ্ছে।

এর প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ডিউক বলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার দিলীপ জাজোদিয়া। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনকে তিনি বলেন, বল-বিতর্কের উত্তর খুঁজছেন তিনিও। পাল্টানো বলটি পাঁচ বছরের পুরোনো, এমন অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না দিলীপ জাজোদিয়া। ২০১৮ কিংবা ২০১৯ অ্যাশেজ সিরিজের বল এবারের সিরিজে আম্পায়ারদের বলের বাক্সে ঢুকল কীভাবে, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জাজোদিয়ার দাবি, এমন কিছু ‘না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি, তবে একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না।’

আবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ কর্প’কে দিলীপ বলেন, ‘কীভাবে আম্পায়াররা এই ঝুঁকি নিলেন! সত্যি বলতে এটা ম্যাচ রেফারির খেয়াল করা উচিত ছিল। আমরা বলে নম্বর খুব ভালোভাবেই বসিয়ে থাকি। কারণ, বলের গায়ে প্রিন্ট করা সোনালী লেখা উঠে আসতে পারে। আমি নিজেই এটার তদন্ত করব। কারণ এটি আমাদের সুনামের বিষয়।’

ম্যাচ চলাকালীনই বলের বিষয়ে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন অজি ব্যাটসম্যান উসমান খাজা। তার প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা বক্সে আর কোন বল ছিলনা বলে মন্তব্য করেছিলেন বলে জানান খাজা। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এবং অ্যাশেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে এমন ভুলের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখার দাবি সাবেক অজি ক্রিকেটারদের অনেকেরই।