মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ ক’বছর গবেষণার কাজ করেছি। সারদেশ নয়, আমার জেলা চাঁপাইনবগঞ্জ নিয়ে। জেলার আনাচে কানাচে গেছি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্যের সন্ধানে। নানা তথ্যে আমার বুক গর্বে ভরে গেছে, জেলাবাসীর সাহসে ও আত্মত্যাগে। আবার কোন কোন তথ্যে ও তথ্য বিভ্রাটে খুব কষ্ট পেয়েছি। কারণ অনেকেই নিজকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বানাতে অসত্য বক্তব্যের আশ্রয় নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেননি এমন লোকও নিজকে যুদ্ধক্ষেত্রের সাহসী যোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বারবার এ রকম বক্তব্যের ভেতর থেকে সত্যটা বের করা অধিক গবেষণা ও সময় সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। আমার পূর্বের লেখা গ্রন্থের কিছু তথ্য আজকের লেখায় বদলে যাবে। কারণ তথ্যদাতাদের নিজকে অধিকতম মেলে ধরার অতি আকাঙ্ক্ষা সত্যকে বিকৃত করে। ফলে সঠিক ও সত্যের জন্য আরো আরো অনুসন্ধান দরকার হয়।
৭ মার্চের পর থেকে অনেক স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং শুরু হয়ে যায়। ৮ মার্চ অ্যাম্বাসেডর কামাল উদ্দিনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বাসভবনের দোতলায়, তার শয়ন কক্ষে জয়বাংলা পরিষদের প্রথম অস্ত্র ট্রেনিং বিষয়ক গোপন মিটিং হয়। দ্বিতল এ বাড়িটি ছিল মোস্তফা জুতা দোকানির। এই মিটিংএর পর মহান্দা নদীর ওপারের দরগার জঙ্গলে শারীরিক কসরত এবং গুলি ও বোমা না ফুটিয়েই শব্দহীনভাবে অস্ত্র ট্রেনিং শুরু হয়। অস্ত্র ও সামরিক গ্রেনেডগুলো শহীদ গোলাম নবী সাটু সংগ্রহ করেছিলেন। আর ট্রেনিং করাতেন মুজাহিদ ট্র্রেনিংপ্রাপ্ত নুরুল ইসলাম কমিশনার। এখানে ২৫ জনের একটি দল ট্রেনিং গ্রহণ করেন।
২৬ মার্চ থেকে মূলত সারাদেশে অনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধের শুরু। এদিনের ঘোষণায় রেফরির হুইসেলে মুক্তিযুদ্ধের আগুনে খেলার শুরু। কিন্তু সে আগুনে ধোঁয়ার উৎপত্তি কিন্তু অনেক আগে থেকেই। বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষ কিন্তু বারুদ হয়েই ছিল, দরকার ছিল ঘঁষা দেবার। যেটি দিলেন বঙ্গবন্ধু, ২৬ মার্চ। তার পূর্বে ৭ মার্চের ভাষণ:
“তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো।”
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।”
এতে যা বোঝার ও বোঝোনোর তার সবটুকুই আছে।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর, কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে ২৬ তারিখ, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ও ২৭ তারিখ মেজর জিয়াউর রহমান তা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পুনঃপুন পাঠ করেন। শুরু হয় আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২৭ ও ২৮ মার্চ। এখানকার বাঙালি ইপিয়ার(/বিডিআর/বিজিবি) কর্তৃক স্থানীয় রাজনীতিকদের নিকট গোপন বার্তা পৌঁছায়, যে ক্যাম্পের পাঞ্জাবি জওয়ানরা শহর আক্রমণ করবে। কিন্তু তার পূর্বেই স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, ইপিআর পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনতা ক্যাম্প দখল করে নেয়। তবে জনতার এ বিজয় আরো সহজ করে দেয় এ ক্যাম্পের বাঙালি ইপিআর জওয়ারা। কারণ আক্রমণ হতে পারে এই ভয়ে, একজন বাঙালি ইপিআর সেন্ট্রিকে গুলি করে হত্যা করে পাকসেনারা। আর তখনি বাঙালি ইপিআর জওয়ানরা অস্ত্রগুদামের দখল নিয়ে নেয়।
এরপর পাকসরনারারা এলোপাতাড়িভাবে পালাতে থাকে। মাঝরাস্তায় ক্যাম্পের পাকপ্রধান ধরা পড়ে যায়। তার স্ত্রী কন্যাও বাঙালির হাতে বন্দী ও নিহত হয়। সে এক করুণ ইতিহাস। তা আর একদিন বলবো। এ হলো শুরুর কথা। মধ্যবর্তী সময়ের কাহিনী কিন্তু অনেক করুণ হলেও বেশ সাহসী।
সেভেন সেক্টরের সাবসেক্টরের ছিল এ অঞ্চল। সেভেনসেক্টর প্রধান মেজর নজমুল হক ইন্ডিয়াতে গাড়ি দুর্টনায় অকাল মৃত্যু বরণ করেন। তখন এ অঞ্চলের দায়িত্বে আসেন মেজর গিয়াসউদ্দিন। আর ততদিনে এখানকার সোনামসজিদ-মাহাদিপুর সীমান্তের ওবারে, সামান্য দুরত্বে গড়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রিক্রুটিং ও প্রাথমিক ট্রেনিং সেন্টার, যা গৌড়বাগান ক্যাম্প নামেই যা অধিক পরিচিত। ক্যাম্পের রাজনৈতিক প্রধান আ,আ, ম মেশবকহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)। তিনি তখন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্ডিয়ান সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন পানুয়ার। ক্যাম্প এডজুটেন্ট তৎকালীন নবাবগঞ্জ কলেজের নির্বাচিত ছাত্র সংষদের ভিপি আব্দুস সামাদ। তিনি মুত্তিযুদ্ধের স্কোয়াড্রন লিডারও। ক্যাম্পের ডাক্তার আ, মান্নান, পলিটিক্যাল মোবালাইজার মইনুদ্দীন মন্ডল ও ইব্রাহিম আলী।
আজকের আলোচনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরো মুক্তিযুদ্ধের বিষদ বর্ণনা নয়, মূলত ১৩ ১৪ ১৫ ও ১৬ তারিখের প্রান্তিক আলোচনা। ২৭ মার্চ জনতা কর্তৃক তৎকালীন ইপিয়ার ক্যাম্প দখলের পর অনিবার্য আঘাত এসেছে জেলাবাসীর উপর। এ জেলাকে পুরুরায় দখলে নিয়েছে পাকবাহিনী। শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে তারা। পাকবাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ড ও জ্বালাও পোড়াওতে ধ্বংসপ্রায় অনেকগুলো গ্রাম। ১৯ সেপ্টেম্বর বোয়ালিয়া, ২২ সেপ্টেম্বর নরসিয়া-সাহাপুর- জামবাড়িয়া, ৯ অক্টোবর দোরসিয়া, ৬-৭ অক্টোবর বিনোদপুর গ্রামে পাকবাহিনী ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও জ্বালাও পোড়াও করে।
তারপর অনিবার্য ক’টি রক্তক্ষয়ী ও মরণপণ লড়ায় হয। কলাবাড়িতে প্রায়দিনই খণ্ডযুদ্ধ হতো। বালিয়া দিঘিতে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কানসাটে ছিল পাকবাহিনী শক্ত অবস্থান। ৯ নভেম্বব বিখ্যাত আড়গাড়া হাট যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর বিজয় হয়৷। হরিপুর ব্রিজ ও বিনোদপুরেও দুটো যুদ্ধ হয়েছে। হরিপুর ব্রিজের যুদ্ধে মুক্তিরা সফলভাবে ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিনোদপুর যুদ্ধে মুক্তি বাহিনী গোলার অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয়। সে যুদ্ধে এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা একা ফায়ারিং কভার দিয়ে সঙ্গীদের পিছু হটতে সহযোগিতা করে প্রাণ দেয়। পাকবাহিনীর বারবার আহ্বান সত্বেও সে স্যারেন্ডার করেনি। পাকবাহিনী তাকে হত্যা করে। তবে তার যুদ্ধ কৌশল ও সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ পাক মেজর সাজ্জাদ তাকে সামরিক কায়দায় দাফন করেন। কিন্তু অদ্যাবধিও তার কবর সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এমন কী, এ কিশোর মুক্তিযোদ্ধার নাম পরিচয়ও জানা সম্ভব হয়নি। আরো গবেষণায় তা হয়তো জানা সম্ভব হবে। এছাড়া রহনপুর ও শহরের গজগজিয়া পাড়াতেও খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে।
এফএফ, এমএফ, বিএলএফ ও জনতা, সবাই মিলে যে যুদ্ধ তাই মুক্তিযুদ্ধ। সবাই দেশসন্তান। তবে সত্যিকার যুদ্ধের ঢাল ও ঢল ছিল এফএফ, মানে ছাত্রজনতা। সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও এফএফই মুক্তিযুদ্ধের নিউক্লিয়াস, প্রাণশক্তি, সংখ্যায় ও মৃত্যুতে তারাই অগ্রগামী।
জেলার চতুর্দিক বিজয়ের পর কেন্দ্র বা শহরাঞ্চল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের যুদ্ধ শুরু হয় ১৩ ডিসেম্বর রাতে। এ রাতে রহনপুর থেকে স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুস সামাদ ও তুফান আলীর নেতৃত্বে মুক্তিরা নয়াগোলায়, শিবগঞ্জ কানসাটের দিক থেকে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, লেপ্টেনেন্ট কাইয়ুম, মহারাজপুরের সাহসী যোদ্ধা কামালের নেতৃত্বে আকুন্দবাড়িয়া, চামাগ্রাম, বারঘরিয়া ও গোহালবাড়িতে এবং মিরের চর হতে মেজর গিয়াস ও অন্যান্যদের নেতৃত্ত্বে শহরের গজগজিয়া পাড়াতে অবস্থান নেয় এবং সে রাতেই মেজর গিয়াস বাহিনী অবস্থান সংহত করে রাজশাহী চলে যান। মুক্তি বাহিনী উদ্দেশ্য, শত্রুকে তিন দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ করা। চাঁপাই শহরের রাজশাহী রোড ফাঁকা রাখা হয়। যেন তুমুল যুদ্ধে শত্রু পরাস্ত ও ক্ষিপ্ত হয়ে শহর ধ্বংস না করে, খোলাপথে পালিয়ে যায়।
পাঞ্জাবিদের অবস্থান মুলত ইপিআর ক্যাম্পের মধ্যে ছিল। রাজাকার ক্যাম্প ছিল বর্তমান সাটুহল কেন্দ্রিক। আলবদর-আলশামস ক্যাম্প ছিল শহরের আলিয়া মাদ্রাসায়। মূল টর্চার সেল ছিল শহরের পুরাতন আওয়ামী লীগ অফিসের রাস্তার ওপারে “যাদুপুর ভিলা” নামক ভবনটিতে। এখানে শতশত মানুষকে নির্যাতনের মাধ্যমে নিশ্চিত হত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেহায় চর, শ্মশানঘাট, সদরঘাট, খালঘাটে হত্যা করা হত সন্দেহজনক জনতাকে। সে মৃত্যুচিৎকার হাজার জনের শোনা। মহানন্দা নদী তীরবর্তী রেহায়চর, পুনানো সিএন্ডবি ঘাট, সদরঘাট, খালঘাট পর্যন্ত পাকবাহিনীর লম্বা পগার আকৃতির টানা গভীর বাঙ্কার ছিল। আর এই শক্ত অবস্থানকে লক্ষ্য করেই ত্রিমুখী আক্রমণের পরিকল্পনা করে ত্রিমুখী অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এই তিনটি বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও লক্ষ্য করা গেছে। কমান্ড ভেঙে মিরের চরের বাহিনীর ইপিআর সদস্য নকীক আলী সহযোদ্ধাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, রাজশাহী রোডের হরিপুর ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। পলায়নরত পাকবাহিনীর হাতে তিনি নিহত হন। মুক্তিযোদ্ধাদের তিন অবস্থান থেকে শহরের পাকবাহিনীর উপর ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। কিন্তু আশানুরূপ প্রতিরোধ তো দূরের কথা, বলতে গেলে পাকবাহিনীর পক্ষে তেমন গুলির সাড়া মেলেনি। কারণ সন্ধ্যাতেই পাঞ্জাবিরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে শহর ছেড়ে রাজশাহীর দিকে পালিয়ে যায়। একটি দল হরিপুর হয়ে, আর অন্যটি আমনুরা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ত্যাগ করে।
শহরে রেখে যায় হালকা অস্ত্রসজ্জিত রাজাকার বাহিনী। ভীত রাজাকাররাও বাঙ্কার ছেড়ে পালিয়ে গোপন আশ্রয়ে চলে যায়। অধিকাংশই রাজাকারই স্থানীয় বলে তারা পারিবারিক ভাবে আত্মগোপনে যেতে সক্ষম হয়। আবার ১৩ তারিখ রাতে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর ক’জন সঙ্গী নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে, রেহায় চরে বাঙ্কার চার্জ করতে থাকেন। এটি অন্য দুই অবস্থানের মুক্তিযোদ্ধাদের জানা ছিল না। আর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরেরও জানা ছিল না যে, বাঙ্কারে কোন রাজাকার বা পাঞ্জাবি নেই। এ অবস্থায় বর্তমান মহানন্দা সেতুর নবাবগঞ্জ প্রান্তের দক্ষিণপশ্চিম দিকের একটি বাড়ির দেয়ালের আড়াল থেকে, গানপয়েন্ট দূরত্বের মধ্যে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার সঙ্গীরা পালিয়ে যান। সেদিন তার সাথে আর কারা ছিলেন সেটি নিশ্চিত হতে পারা যায়নি। জাহাঙ্গীরের মৃত্যু আত্মগোপনকৃত রাজাকারের চোরা হামলার ফল। ১৪ তারিখ সারারাত গুলিবর্ষণের পরও পাকপক্ষ খেকে কোন প্রত্যুত্তোর মেলেনি। তখন মুক্তিরা নিশ্চিত হয়, যে শত্রুপক্ষ সব পালিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। ফলে ১৫ তারিখ মুক্তিযোদ্ধার আকাশমুখী ফায়ার করতে করতে শহরে প্রবেশ করে। সাথে আবালবৃদ্ধবনিতাও। বিজয়োল্লাসের সাথে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয় তারা। নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠের জনসভায় নবাবগঞ্জকে স্বাধীন বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেন মুক্তিবাহিনী ও জেলার রাজনৈতিক নেতারা। সেখানেই হঠাৎ খবর মেলে, রেহায় চরে মহানন্দা নদীর তীরে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ পড়ে আছে। তখন মুক্তি বাহিনী একটি দল গিয়ে বিনা বাধায় সে লাশ উদ্ধার করে। বড় ইন্দারার আসগার হাজির বাড়িতে গোসল ও কাফন পরিয়ে সোনা মসজিদে মেজর নাজমুলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠের এ বিজয় সভাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরাবাদ। ১৬ ডিসেম্বর শহরের চূড়ান্ত বিজয়সভা থেকেও শহরের নাম জাহাঙ্গীরবাদ নামটি ঘোষণা করা হয়।
তবে আজ পর্যন্ত তা সরকারিভাবে কার্যকরী হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তি আরো কিছু প্রচলিত অসত্য আছে, যা আগামীতে প্রমাণসহ শুদ্ধি করে একটি ইতিহাস গ্রন্থ লেখা যেতে পারে।