ঈশ্বরদী-রূপপুর রেললাইন-স্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পাবনায় রূপপুর-ঈশ্বরদী রেললাইন ও রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব অবকাঠামোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভারী মালামাল ও যন্ত্রপাতি সহজে পরিবহনের জন্য ঈশ্বরদী থেকে রূপপুর পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলপথ ও রেল স্টেশন নির্মাণ করে সরকার। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩৬ কোটি টাকা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে রূপপুর স্টেশন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেন হোসেন, পাবনার পুলিশ সুপার মুন্সি আকবর আলী, পাকশী রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, পশ্চিমাঞ্চল রেলের ডিআরএম শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি. এম ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, এই রেলপথের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি, মালামাল ছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রস্তুতকৃত মালামাল কন্টেইনারের মাধ্যমে কম খরচে, কম সময়ে সরাসরি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে দ্রুত আনা-নেওয়া করা যাবে।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন দ্বার উন্মোচন হলো।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের পহেলা এপ্রিল এই রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন ঈশ্বরদী বাইপাস টেকঅফ পয়েন্ট থেকে পাকশীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ব্রডগেজ-মিটারগেজ (ডুয়েল গেজ) রেললাইনের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।