ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নানা আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসব আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নবীন দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেজবাহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন এবং প্রধান আলোচক ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে.এম. সরফউদ্দিন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এম শোয়েব, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, এ.বি.এম. রিজওয়ান উল ইসলাম এবং হাসিবুল হাসান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কে.এম সরফউদ্দিন বলেন, আমরা যখন এখানে ছিলাম আমরা হীনমন্যতায় ভুগতাম। এখন আপনাদের এই হীনমন্যতা হচ্ছে না আশা করি। আপনারা আজ অবিভাবক শূন্য নন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেটওয়ার্কিং এর সবথেকে বড় প্লাটফর্ম এই জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। ছোট-বড় সবাইকে কানেক্ট করায় এটি। ছাত্রকল্যাণ শব্দটি খুবই উল্লেখযোগ্য। কল্যাণের দিকে খেয়াল রাখবেন। ছাত্র,শিক্ষক,পরিবার, সমাজ, দেশ সবার কল্যাণের কথা ভাববেন। কারো যেনো অকল্যাণ না হয় আপনার দ্বারা সেটি স্মরণে রাখবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, জেলা সমিতির যে মূল কাজ সেটা হলো যারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে বা ভর্তি হতে আসে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, হলে সিট দেয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করা, পড়াশোনার ব্যাপারে সহায়তা করা, তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি যায়গা যেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে শিক্ষকরা সিনিয়র রিসার্চার এবং শিক্ষার্থীরা জুনিয়র রিসার্চার। তাই তোমাদেরও উচিত শিক্ষক এবং সিনিয়রদের অনুসরণ করে নিজেদের কমিউনিকেশন বৃদ্ধি করার জন্য জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত থাকা।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেজবাহ বলেন, দীর্ঘদিন বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম, কতটা কাজ করে সফল হয়েছি তা বিবেচনার দায়িত্ব আপনাদের। শেরপুর নামটা আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। আপনারা সাথে থাকবেন, পাশে থাকবেন, এই কার্যক্রমকে আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।