আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত আগ্রাসনের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অথচ দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ হয়েও বলিভিয়া ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সরব। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর আরব দেশগুলো সেভাবে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি ইসরায়েলকে জোরালোভাবে চাপও দেননি আরব দেশের নেতারা। অথচ দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন বিক্ষোভ ও পদক্ষেপ দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এমন পদক্ষেপ নেয় দেশটি। তবে শুধু বলিভিয়াই নয়, ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এগিয়ে এসেছে দেশটির প্রতিবেশীরা। কলম্বিয়া ও চিলি ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই তিন দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং এতে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র।
এক সংবাদ সম্মেলনে বলিভিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি বলেন, বলিভিয়া গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আগ্রাসী এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণের প্রত্যাখ্যান এবং নিন্দায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে মেক্সিকো ও ব্রাজিলের মতো অন্য লাতিন দেশও ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এসব দেশ যুদ্ধবিরতির পক্ষে শুরু থেকেই সরব হয়েছে। শুক্রবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, আমরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পাগলামি দেখতে পাচ্ছি, যিনি গাজা উপত্যকা নিশ্চিহ্ন করে দিতে চান।