ইসরায়েলি নির্যাতনের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনশন

কারাগারে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিম্নমানের জীবনযাপন থেকে মুক্তির জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছে ইসরায়েলে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনি। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বন্দীদের নিয়ে কাজ করা একটি মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স প্রেস অফিসের পরিচালক আহমেদ আল কুদরা। তিনি জানান, ইসরায়েলি কারা প্রশাসনের আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ইসরায়েলের সব কারাগারের প্রায় এক হাজার বন্দি অনশন শুরু করেন। এসময় বন্দিদের প্রতিবাদ সমর্থন দিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান কুদরা।

দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ কারাগারে অভিযান চালিয়ে বন্দিদের অন্যত্র স্থানান্তরের পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে পশ্চিম তীরের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের কারাগারে অন্তত ৫ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১২০০ জনকে অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখার অভিযোগ আছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

গত ১৫ মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি অভিযান, ফিলিস্তিনি গ্রামে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডবের মধ্যেই অনশন কর্মসূচিটি আসে। জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯৬ ফিলিস্তিনি এবং ২৪ জন ইসরায়েলে নিহত হয়েছে।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিকে সামরিক শাসনের অধীনে নিয়ে নেয় ইসরায়েল। শুধু তাই নয়, সেখানে অবৈধ বসতি নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে এই জটিলতা নিরসনে দৃষ্টত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।