ইবি’র দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে ইবির ম্যানেজমেন্ট ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুপ্ত ও জিসাদকে মারধরের ঘটনায় এজাহারভূক্ত প্রধান দুই আসামি আকাশ ও আলীমকে গ্রেপ্তার করেছে শৈলকুপা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মামলা করা হয়েছে তাতে তাদের দুইজনের নাম ছিল। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর নামে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্তসাপেক্ষে বাকিদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। আমাদের ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে মূল আসামি দুজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের সাথে সার্বক্ষণিক কথা বলছি এ বিষয়ে। আপাতত বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।

এর আগে, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম.আলী হাসান বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে শৈলকুপা থানায় আকাশ ও আলীমকে মূল অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইবি’র ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুপ্ত ও জিসাদের ওপর অতর্কিত হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টার বিষয়টি উঠে আসে।

গত সোমবার বিকেলে ইবি লেকে দুইজন বহিরাগত ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের ভিডিও ধারণ করলে তাদের বাধা দেয় সুপ্ত এবং জিসাদ। মোবাইল থেকে ভিডিও ডিলিট করতে বললে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুপ্ত ও জিসাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয় তারা। পরে দুই শিক্ষার্থী বাইকের জ্বালানি নিতে গেলে সেখানে তাদের ওপর হামলা চালায় আট-দশজন বখাটে। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে ইবি মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের কুষ্টিয়া মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে মাইকিং করে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এ। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়ত্র সাথে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।