ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান।
এরপরে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবনের সামনে বটতলায় গিয়ে আলোচনা সভায় সমবেত হয়।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক শেখ ড. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চলে যাই পুণ্য লাভের আশায় আর আজকে এ অনুষ্ঠানে এসেছি নাড়ির টানে। আমরা এদিন যুক্ত হবো এবং নিজেদেরকে প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধকার থেকে মুক্ত করব।’
উপাচার্য আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন “বাঙালির রং, বর্ণ, আকারে বাঙালিকে বোঝা যায়।” যেমন তার চলন, বলন, আচরণে এইযে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, এই যুক্ত হওয়ার আকাঙ্খার ভেতরেই আমাদের যোগাযোগ তৈরি হয়। মনের ভিতরে একটা মঞ্চ তৈরি হয়। এই মঞ্চকে উজ্জ্বল করে এই জাতীয় অনুষ্ঠান। বাঙালি স্বত্তা আমাদের মাঝে লালন করব। এ ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমরা দেশ, জাতিকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করব।’
এদিকে, মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সকল অনুষদ, বিভাগ, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে টানা চারদিন ধরে প্রস্তুতি নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলেন তারা।