খেরসনের বাঁধ ধ্বংস করলো রাশিয়া, জরুরি বৈঠকে জেলেনস্কি

রাশিয়া বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসনের ‘নোভো কাখোভকা’ বাঁধ ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভের সামরিক বাহিনী। এতে খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষিণের কমান্ড মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রুশ বাহিনীর হামলায় কাখোভকা বাঁধটি ভেঙে গেছে। হামলার পর বাঁধটিতে ধ্বংসের মাত্রা, পানির গতি এবং কতটুকু প্লাবিত হতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

সাবেক সোভিয়েত আমলের বাঁধটি ধ্বংসের পর দিনিপ্রো নদীর পানির উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে নদীর ডান তীরের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে লোকজনকে সরে যেতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে খেরসন অঞ্চলের ইউক্রেনীয় প্রশাসন। সেই সাথে জান-মালের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা অনুসরণ করার আহবান জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বাঁধটি ধ্বংস হওয়ায় আশপাশের নিম্নাঞ্চল যেমন প্লাবিত হবে, তেমনি ইউক্রেনের দক্ষিণাংশে পানি সেচ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর, নোভা কাখোভকা শহরের মস্কো নিযুক্ত মেয়র ভ্লাদিমির লিওন্টিভ প্রথমে বাঁধ ধ্বংসের খবরটি অস্বীকার করলেও পরে এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনের গোলাবর্ষণকে দায়ী করেন। বাঁধ ধ্বংসের ঘটনায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি । দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব ওলেক্সি দানিলভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রয়টার্স জানায়, ১৯৫৬ সালে কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশ হিসেবে ৩০ মিটার উঁচু ও ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লম্বা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১৮ কিমি আয়তনের বিশাল জলাধার রয়েছে, যা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ও জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে। যা এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।