প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই ইংল্যান্ড নারীদের ফুটবল দলের সর্বোচ্চ সাফল্য। আর এর পেছনের কারিগর সারিনা ভিগমান। ২০২১ সালে দ্বায়িত্ব নেয়ার পরের বছরই ইংল্যান্ডকে ইউরো জিতিয়েছেন ভিগমান। এবার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় থেকে এক হাত দুরত্বে অবস্থান করছেন ইংলিশ নারী ফুটবলাররা। তবে ভিগনার আলোচনায়, প্রথম কোচ হিসেবে দুটি আলাদা দলকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলে। ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসের পর এবার তাঁর অধীন ফাইনালে গেছে ইংল্যান্ড। নারীদের দলে তার এমন সাফল্যের কারণে ভিগমানকে ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের কোচ হিসেবেও বিবেচনা করার কথা জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
এফএ’র প্রধান নির্বাহী মার্ক বুলিংহাম ভিগমানের জন্য অন্য কোনো দলের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। ইংল্যান্ড পুরুষ দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের সঙ্গে চুক্তি আছে ২০২৪ সালের ইউরো পর্যন্ত। তবে কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ইংল্যান্ড বাদ পড়ার পর সাউথগেট সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে শোনা যায়। আর তেমনটা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ৫৩ বছর বয়সী ডাচ কোচ ভিগনার।
বুলিংহাম বলেন, ‘ভিগমান ফুটবলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। ফলে ভিগমানের ছেলেদের দলের দায়িত্ব সামলানো নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই।’ ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশনের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি সে ছেলেদের খেলায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়, সেই আলোচনা আগ্রহজাগানিয়া হবে। তবে এটি তার সিদ্ধান্ত। যদি ভবিষ্যতে সে ভিন্ন পথে এগোতে চায়, আমার মনে হয় সব সামর্থ্যই তার আছে।’
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভিগমানের অধীনে ৩৮ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে হেরেছে ‘লায়নেস’রা। আগামী রোববার ফাইনালে স্পেনের বাঁধা অতিক্রম করতে পারলে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতবে ইংল্যান্ড। ছেলেদের ফুটবল ইতিহাসে কোন নারী কোচের দ্বায়িত্ব পালনের ইতিহাস নেই। ভিগমান যদি সে পথে এগোতে চান. তবে তিনিই হবেন ফুটবল ইতিহাসে পুরুষ দলের দ্বায়িত্ব নেয়া প্রথম নারী কোচ।