বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন। শুক্রবার রাতে ২০ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরপর থেকেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।
সকাল ১০টার দিকে শেষ হয় সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ। কিন্তু এর আরও অনেক আগে থেকেই বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে সমাবেশ স্থলে আসেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সোয়া ১০টার দিকে আসেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এসময় বেশ কয়েকটি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন নেতাকর্মীরা।
সোনারগাঁও থেকে আসা যুবলীগ নেতা ওবায়দুল বাদল বলেন, আমরা সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে এখানে এসেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ উন্নত হচ্ছে। সুতরাং আমরা দেশে কোনও অন্য সরকার চায় না। বিএনপি-জামায়াত দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকার রাজপথ দখল করে রাখবে। দুই কোটি লোকের এ নগরীতে বিএনপির দুই লাখ লোকের মাধ্যমে সরকার পতনের সমাবেশের মাধ্যমেই বুঝা যায় তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন দল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।