ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের এখন ক্লাব ভবিষ্যৎ কি? ফুটবল বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় এটি। পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণার পর থেকেই ক্লাবের সাথে তিক্ততার শুরু হয় এমবাপ্পের। যার পেছনে এত বিনিয়োগ সেই ফুটবলারকে আগামী মৌসুমে ফ্রী এজেন্ট হিসেবে ছাড়তে নারাজ প্যারিসের ক্লাবটি। আবার চলতি মৌসুমে নয়, চুক্তি সম্পন্ন করে ৩০ কোটি ইউরোর আনুগত্য বোনাস নিয়ে আগামী মৌসুমে ক্লাব ছড়বেন বলে জানিয়েছেন এমবাপ্পে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে যে শীতল যুদ্ধ চলছে সেটি বলাই যায়।
গত মৌসুমে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়াটা একরকম নিশ্চিতই ছিলো। তবে বিশাল অঙ্কের বেতন-বোনাসসহ সম্ভাব্য সব ক্ষমতার ব্যবহার করে এমবাপ্পেকে ধরে রাখে পিএসজি। শোনা যায় ফরাসি প্রেসিডেন্স ইমানুয়েল ম্যাক্রোও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তবে এমবাপ্পের চুক্তি না বাড়ানোর ঘোষণার পর আবার আলোচনায় আসে রিয়াল। অনেকদিন ধরেই এমবাপ্পেকে দলে টানার দৌড়ে থাকলেও, এবার অনেকটাই চুপচাপ স্প্যানিশ ক্লাবটি। এমবাপ্পের জন্য এখনো আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব দেয়নি গ্যালাকটিকোরা।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, আগামী মৌসুমে এমবাপ্পে মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে গেলে তাঁকে বিনা পয়সায় দলে ভেড়ানোই রিয়ালের লক্ষ্য। ফলে এই মুহুর্তে অপেক্ষা করতে চায় ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। আজ এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তার উত্তরে পেরেজ বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আমি শান্তই আছি। আমি সব সময়ই শান্ত থাকি।’
তবে পেরেজের কপালের ভাঁজ বাড়তে পারে দ্রুতই। ফ্রান্সের আরএমসি স্পোর্ত রেডিওর খবর, এমবাপ্পেকে পেতে রিয়ালের সঙ্গে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও সৌদি আরবের আল হিলাল। দুটি দলেরই অর্থ খরচের বিষয়ে বেশ সুনাম রয়েছে। ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর সত্যি হলে, পেরেজ ঠিক কতটা শান্ত থাকতে পারেন সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।