সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার বিকেল চারটায় মেলার উদ্বোধন করেন কবি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল হোসেন নাসের চৌধুরী। বাংলাদেশ কনস্যুলেট এই মেলার আয়োজন করেছে।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আবু জাফরের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘বইকে বলা হয় মনের হাসপাতাল। বাংলা ভাষার মহাসমুদ্রের শত বছরের কল্লোল যদি আমরা শুনতে চাই, তাহলে বইয়ের কাছে যেতে হবে৷ বই আমাদের কঠিন সময়েও বাঁচতে শেখায়, মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়৷’
তিনি আরও বলেন, ‘দূর প্রবাসে থেকে বাংলা ভাষার চর্চার জন্য বই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখে। বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের হাতে বই তুলে দিতে হবে৷’
প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের হাতে বই তুলে দিলে তাদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা কাজ করবে। বই পড়ার মাধ্যমে তাদের শব্দভাণ্ডার আরও উন্নত হবে। অনলাইনের যুগে ভুল ইতিহাস প্রচার হচ্ছে৷ ভুল ইতিহাস বুঝতে হলে বই পড়ে সঠিক ইতিহাস জানতেই হবে।’
রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলা সংস্কৃতি বিকাশের একটি সুযোগ রয়েছে। সেটি সম্ভব বাংলা বই পড়ার অভ্যাসের মাধ্যমে।’
বইমেলার উদ্যোক্তা দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘১৯৭২ সালে মাত্র ৩২টি বই দিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছিল একুশে বইমেলা। প্রথমদিকে পাঠকদের তেমন আগ্রহও দেখা যায়নি। একটা সময় তা আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমিরাতে চালু হওয়া আজকের এই বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গ সাংস্কৃতিক উৎসব নিয়ে তেমন প্রত্যাশা আমাদেরও।’
এই বইমেলায় ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছে ৩০টি প্রসিদ্ধ প্রকাশনা সংস্থাসহ মেলায় মোট স্টল রয়েছে ৭৫ টি। মেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তিসহ মহিলা সমিতি ইউএই’র উদ্যাগে ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।