‘আমার কথা এরকম ই, সহ্য হলে হবে, না হলে নাই’

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে অক্সিজেন সাপোর্ট ও ওষুধ চাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ড. ইসমাত আরা পারভীনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন নোবিপ্রবি’র সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান তার সহপাঠীসহ ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর মেডিক্যাল সেন্টারে তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। হঠাৎ অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে ওষুধ ও অক্সিজেন এর ব্যাপারে মেডিক্যাল অফিসার ড. ইসমাত আরা পারভীনকে জানালে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অক্সিজেন ও ওষুধ এর ব্যাপারে মেডিক্যাল অফিসার ড. ইসমাত আরা পারভীনকে জানালে তিনি আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এসম তিনি ওষুধ ও অক্সিজেনের জন্য ট্রেজারার ও উপাচার্য স্যারের কাছে যেতে বলেন। তাকে আস্তে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কথা এরকম ই, সহ্য হলে হবে, না হলে নাই।’

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, মেডিক্যাল অফিসার ড. ইসমাত আরা পারভীন নিয়মিত মেডিক্যাল সেন্টারে আসেন না।

এ ব্যপারে মেডিকেল অফিসার ড.ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এসব কোন ঘটনাই ঘটেনি মেডিক্যাল সেন্টারে। এসব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চক্রান্ত।’

নিয়মিত মেডিক্যাল সেন্টারে না আসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ফালতু কথাগুলো তোমরা বলতে পারো না, এসব সাংবাদিকদের কাজ না, এসবের জন্য আমাদের স্যাররা আছেন তারা দেখবেন, ক্যাম্পাসে আরও অকারেন্স হচ্ছে তোমরা সেগুলো দেখো।’

এ বিষয়ে চিফ মেডিক্যাল অফিসার (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘অতিদ্রুত ডক্টরদের নিয়ে বসে মেডিক্যাল সেন্টারের সব সমস্যা সমাধান করবো। শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টাই মেডিক্যাল সেবা পাবে। ইতোমধ্যে মেডিক্যাল সেন্টারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম চলে এসেছে।’