সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা। সম্প্রতি মাহবুবা রহমান আঁখি নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগী পরিবার।
তবে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তার ওপর আনিত সকল অভিযোগকে উদ্যেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করেন ডাঃ সংযুক্তা। তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে। তারা এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে ডা. সংযুক্তা আরও বলেন, আঁখি আমার রোগী ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার একটি স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন। এ বছরের মার্চে তিনি দুবার সেন্ট্রাল হাসপাতালে এসে আমাকে দেখিয়েছিলেন। নিয়মিত রোগী হতে হলে একজন গর্ভবতীর গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রতি মাসে একবার এবং শেষের দিকে দুই সপ্তাহে একবার দেখাতে হয়।
এসময় ডা. সংযুক্তা সাহা আরও বলেন, আঁখি যখন হাসপাতালে, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার টিকিট ও বোর্ডিং পাস আমার কাছে আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটর করিনি। আমার ওপর আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি জানান, স্বার্থান্বেষী একটি মহল প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সদা ব্যস্ত আছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, আমিও একজন সন্তানের মা, আমি একজন চিকিৎসক। আমি এদেশেরই লোক। দেশের এবং সমাজের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা, সেখান থেকেই আমি মিডিয়ার সামনে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরতে চাই।
এই চিকিৎসক বলনে, প্রকৃত ঘটনা বলতে গেলে সেন্ট্রাল হাসপাতালের কথা বলতে হয়। এই হাসপাতালটিতে আমি ২০০৭ থেকে কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছি। এই হাসপাতালটিতে কোনও চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনও নিয়মাবলী নেই।
বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা প্রচলিত প্র্যাকটিসের ওপর নির্ভর করেই এই হাসপাতালটি চলছে। কোনও চিকিৎসকের লিখিত সম্মতি না নিয়ে কোনও রোগী চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি হয় না। কিন্তু প্রয়াত মাহবুবা রহমান আঁখিকে সেন্ট্রোল হসপিটাল ১০ জুন ভর্তি প্রাক্কালে আমার কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত কোনও ধরনের সম্মতি তারা গ্রহণ করেনি।