দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রপিকাল রেইন ফরেস্টও এই আমাজন। তবে গত কয়েক বছর ধরে গাছ কাটা থেকে শুরু করে চোরাকারবারিদের বন উজাড়ের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে আমজনের ভবিষৎ। সে সংকট মোকাবেলায় জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আট দেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রাজিলের বেলেমে আমাজন বন বাঁচাতে আটটি দেশের প্রতিনিধিরা দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন। গত ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া সম্মলনের প্রথম দিনই আমাজন বন উজাড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি জোট গঠনে সম্মত হয়েছে আমাজন অববাহিকার আট দেশ- ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনেজুয়েলা। সেখান থেকে ‘বেলেম ঘোষণা’ নামে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়।
বন রক্ষায় একীভূত পরিবেশনীতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো। পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার ও কার্যকরি পদক্ষেপের মাধ্যমে আমজন সংরক্ষণের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে অংশগ্রহণকারী দেশের নেতারা। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য এখনই সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয় সম্মলন থেকে।
শীর্ষ সম্মেলনটির উদ্বোধনীতে জলবায়ু সংকটের গুরুতর অবনতির কথা উল্লেখ করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। আমাজনকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বিশ্বের বৃহত্তম ‘রেইন ফরেস্ট’ আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ পড়েছে ব্রাজিলে। সবশেষ নির্বাচনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর দেশে বন উজাড় নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। তবে তাঁর পূর্বসূরি জইর বলসোনারোর সময় আমাজন ব্যাপকভাবে উজাড় হচ্ছিল।