আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৪তম জন্মদিন উদযাপন

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৪তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ সমিতি, মহিলা সমিতি, বাংলাদেশ স্কুল, জনতা ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরে রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। লেবার কাউন্সিলর লুৎফর নাহার নাজিমের পরিচালনায় এতে কুরআন তেলাওয়াত করেন দূতাবাসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল আলম। সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন।

এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা সভায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ও তাঁকে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা এবং উৎসাহদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তারা। সভায় বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার, যুবলীগ আবুধাবির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খন্দকার, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিসেস পপি আকতার।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণার বাতিঘর। তিনি পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ দিয়েছেন, প্রেরণা যুগিয়েছেন, পাশাপাশি ঘর সংসার ঠিক রেখে ছেলে মেয়েদের গড়ে তুলেছেন। বঙ্গমাতা সত্যিকার অর্থে একজন আদর্শ গৃহিণীও ছিলেন।

পরে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ ১৫ই আগস্ট ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।