আইপিএল না খেলায় ক্রিকেটারদের বিসিবির প্রণোদনা

জাতীয় দলকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশি লিগে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পুরষ্কার পেয়েছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার। দেশের হয়ে খেলার জন্য ফ্রাঞ্চাইজিলিগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়াটা প্রশংসার দাবিদার। এজন্য ক্রিকেটারদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাসকে এই অর্থ পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।

আইপিএলে খেলতে না যাওয়ায় সাকিব, লিটন ও তাসকিনকে বিসিবির পক্ষ থেকে মোট ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছেন সাকিব। লিটন ও তাসকিন পেয়েছেন প্রায় সমপরিমাণ টাকা। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটা ওদের প্রাপ্য। যে পরিমাণ টাকা ওরা আইপিএল থেকে পেত, সেটা তো আর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ওরা আইপিএলে না খেলে দেশের হয়ে খেলছে, সে জন্য বোর্ড ওদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছে।’

আইপিএলের সর্বশেষ আসরে খেলার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নিলাম থেকে কিনে নেয় দুবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরে আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন সাকিব। জাতীয় দলের খেলার থাকায় একটি ম্যাচ খেলেই দলের সাথে যোগ দেন প্রথমবার আইপিএলে ডাক পাওয়া লিটন। ২০২২ সালে আইপিএলে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও জাতীয় দলের খেলা থাকায় সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ।

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ২০ শতাংশ যায় সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। সাকিব–লিটনরা আইপিএলে না যাওয়ায় এবার সে অর্থ পায়নি বিসিবি, উল্টো বিসিবিই প্রণোদনা দিয়েছে তিন ক্রিকেটারকে। এই তিন ক্রিকেটারকে দেওয়া বিসিবির প্রণোদনাও ঠিক হয়েছে আইপিএলে তাদের মূল্যের ভিত্তিতে।

সর্বশেষ আইপিএলে সাকিবকে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল কলকাতা, লিটনের পারিশ্রমিক ছিল ৫০ লাখ রুপি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাসকিনকে দলে নিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে না যাওয়ায় তাসকিনের পারিশ্রমিকও নির্ধারিত হয়নি।