অ্যাপায়ন করে তার ভিডিও প্রচার ঘৃণ্য: গয়েশ্বর

“ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, চলমান গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন আমাকে চিতায় না তোলেন।” ডিবি কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা জানাতে এভাবেই মুখ খুললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় তিনি আরও বলেন, একমাত্র মৃত্যুই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে আমাকে থামাতে পারবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর রায়। তিনি জানান, শনিবার ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সে খাবার গয়েশ্বর খাননি। ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ডিবি কার্যালয়ে তার জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়, তা তার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। তাছাড়া এই খাবার নিয়ে তার সন্দেহও ছিল। সে কারণে তিনি আর ওই খাবার গ্রহণ করেননি।

গয়েশ্বর বলেন, ডিবি প্রধানের অনুরোধে ও সৌজন্যতা রক্ষায় তার বাসা থেকে আনা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করি।

তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, যারা এ কাজটি করেছে এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় “খাইয়ে খোটা দেয়া”। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?

গয়েশ্বর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সরকারের কোনও প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকারের কাছে এত টাকা নেই যে, গয়েশ্বরকে কিনতে পারে। সরকার গ্রেফতার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে- এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না।

তিনি বলেন, ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা- চিতায় ওঠার আগে যেন এই সরকারের পতন দেখে যেতে পারি। চলমান জনসম্পৃক্ত আন্দোলন সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গয়েশ্বর রায়।