গ্রামীণ অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে স্থানীয় অসহায় পরিবারগুলোর সাথে সভা ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে ফাউন্ডেশনের সাভারের সেনওয়ালিয়ার প্রধান কার্যালয়ে এ আয়োজন শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ‘যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিতপ্ত (আর জে এসসি) এর নির্দেশনা স্মারক NC Letter No.2023368921 অনুযায়ী পূর্ব নাম ‘ভিলেজ ডক্টর ফাউন্ডেশন’ পরিবর্তন করে ‘চিকিৎসা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (সিএফ-বিডি)’ নির্ধারণ করা হয়।
চিকিৎসা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সজল সিংহের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ডা. উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘যদিও এটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, তবে এর মূল্য বহু। এটা একটা পূণ্যের কাজ যার প্রতিফলন আমরা পাই মৃত্যুর পর। এ সময় তিনি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আদর্শ অনুসরণ সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কৃষ্ণা ভদ্রা বলেন, ‘অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ টাকার ক্লাসসহ সেবামূলক এসব উদ্যোগ দেখে আমি মুগ্ধ। আশা করি, তোমরা জাফরুল্লাহ চৌধুরী আদর্শ অনুসরণ করে চলবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সালেক আহমেদ বলেন, ‘জাফরুল্লাহ স্যারের স্বপ্ন ছিল ঔষধের দাম কমানো। এজন্য স্মার্ট প্ল্যানের সাথে প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো সম্পর্কে সাধারণ জণগণকে সচেতন করতে হবে। এছাড়া জনসাধারণকে মানবশরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে সচেতন করা যায়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক সেলিম হোসেন (পিটি), সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার মাকসুদা আক্তার রোজী, স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ কবির হোসেনসহ ফাউন্ডেশনের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং এলাকার সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশের গ্রামীণ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও অতি স্বল্পমূল্যে উন্নত মানসম্পন্ন ওষুধ নিশ্চিত, সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেয়াসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করতে ২০২০ সালের পহেলা ডিসেম্বর চিকিৎসা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, ভেটেরিনারি চিকিৎসা, শিক্ষা সহায়তা, পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাদ্য সরবরাহের কাজ করে যাচ্ছে।