বাংলাদেশে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমতে পারে এমন আভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। চলতি অর্থবছর শেষে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে অজ্বালানি পণ্যের দাম কিছুটা কমার কারণে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা করছে এডিবি।
বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে এডিবি।
গেল কয়েক মাস ধরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। গত দুই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর গত আগস্টে তা বেড়েছে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে।
প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে এডিবি। এর আগে গত জুলাইতে প্রকাশিত আউটলুকেও এডিবি সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
এডিওতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেছেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই সরকার তুলনামূলক ভালোভাবে (অর্থনৈতিক কার্যাবলী) পরিচালনা করছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমালোচনামূলক সংস্কারের অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্যে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি ঘটানো এবং আর্থিক খাতকে আরও দৃঢ় করার বিষয় ছিল। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ।