অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে চার যাত্রীকে উদ্ধার করলো বগুড়া পুলিশ

বগুড়ায় চলন্ত বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়া চার যাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে শহরের সাতমাথা সপ্তপদী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী চার বাস যাত্রীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের মাফুজ মিয়ার স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩২), রংপুর জেলা সদরের নূর নবী সরকারের ছেলে আইনুল ইসলাম (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার দেওগাঁওয়ের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু জাহিদ (২৫) ও হরিপুরের আজগর আলীর ছেলে আসিফ।

অজ্ঞান পার্টির গ্রেপ্তার দুই সদস্য হলেন, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাটের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৪) ও মৃত রোস্তম শেখের ছেলে বোরহান শেখ (৫২)।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বগুড়া সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকার গাবতলী থেকে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্য শহিদুল ও বোরহান যাত্রী বেশে উঠেন। পরে তারা আশেপাশে থাকা যাত্রীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে সিরাজগঞ্জে বাসটির যাত্রা বিরতি সময় শহিদুল ও বোরহান ওই চার যাত্রীর সাথে খাওয়ার টেবিলে বসে কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেন। পরে বাস ছাড়ার পর যাত্রীরা অচেতন হয়ে পড়লে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের মুঠোফোন ও নগদ অর্থ নিয়ে নেয়।

এই বিষয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে সাতমাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে। সে সময় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পালানো চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় বাসে অচেতন অবস্থায় থাকা চার যাত্রীকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। শনিবার দুপুর দু’টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে মামালা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

স্নিগ্ধ আখতার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন গণপরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করতেন তারা। তাদের গ্রেপ্তারের পর ওই চার যাত্রীদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া পাঁচটি মুঠোফোন ও  নগদ ১১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও চেতনানাশক  ওষুধ, স্প্রে, পান-সুপারি ও জর্দা জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা ও উপ-পরিদর্শক রাসেল আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।