ভারতে হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডে নিহত তিন বাংলাদেশির মরদেহ আনতে কাশ্মীর যাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। প্রত্যেক পরিবার থেকে দু’জন করে ভারতের কাশ্মীরে যাবেন বলে জানা গেছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিহত তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ডিএনএ পরীক্ষায় মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পরই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের ডাল লেকে সাফিনা নামের একটি হাউসবোটে আগুন লেগে ওই তিন বাংলাদেশি পর্যটক নিহত হন। শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে সোয়া ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগ রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, চট্টগ্রাম গণপূর্ত উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত এবং ঠিকাদার মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন চৌধুরী। নিহত তিনজনের মধ্যে প্রকৌশলী অনিন্দ্যের বাড়ি মিরসরাই ও ইমনের বাড়ি রাউজানের বিনাজুরি এবং ঠিকাদার মাইনুদ্দিনের বাড়ি রাউজান উপজেলার মধ্যম কদলপুর গ্রামে।
মাইনুদ্দিন চৌধুরীর শ্যালক চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, মৃতদেহ ফেরত আনতে তার বাবা অথবা মা, যেকোনও একজনকে ভারতে পাঠাতে হবে। কারণ ডিএনএ পরীক্ষা করে মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পরই আমরা ফেরত আনতে পারব। মরদেহ আনা ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার মা-বাবাকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্তের শ্যালক শুভ মহাজন বলেন, ভগ্নিপতি ইমন দা’র মা ও বাবাকে কাশ্মীরে পাঠানোর জন্য ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছি। কেননা, ডিএনএ পরীক্ষা করে আমাদের মরদেহ ফেরত আনতে হবে। পুড়ে যাওয়ায় কারো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে একটি হাউসবোট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত পাশে থাকা অন্যান্য হাউসবোটে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে অন্তত পাঁচটি হাউসবোট পুড়ে গেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া হাউসবোট থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি পর্যটকও রয়েছেন। তারা ডাল লেকে সাফিনা নামে একটি হাউসবোটে অবস্থান করছিলেন।