আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের মতো করে সবকিছু সাজাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নিজেদের মতো সবকিছু সাজাতে চায়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গলার জোরে বলে দেশে গণতন্ত্র আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনোই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু সেটা টিকেনি। এবারও টিকবে না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসা ও রাজনীতি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দূরে সরিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি হলেও সরকার সায় দিচ্ছে না। সরকারকে হটাতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন বেগবান করতে হবে। এখন এর কোনও বিকল্প নেই।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘ক’দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম পুলিশে ব্যাপক রদবদল, ব্যাপক পদোন্নতি। সাড়ে সাতশ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আর পোস্টিংগুলো সব করা হচ্ছে। অর্থাৎ, মাথার মধ্যে নির্বাচন। আবার গতকাল দেখলাম সচিবদের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রশাসনেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের মতো করে সব সাজিয়ে নিতে চায়।’
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য কাদের গনি চৌধুরীসহ আরও অনেকে।