লিওনেল মেসি- তিনি যে পায়ের জাদুতে নতুন করে ইতিহাস লিখতে পারেন, সেটি প্রমাণ করলেন আরো একবার। ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে সদ্যই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। কিছুদিন আগেও যে মেজর লিগ সকার নিয়ে খুব একটা মাতামাতি ছিলো না, লিও মেসির যোগদানের ঘোষণার পর থেকে বদলে গেছে সে চিত্র। সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের আগ্রহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে প্রতিযোগিতাটি। আর তা যে মেসির বদৌলতে, সেটি আলাদা করে না বললেও চলে। এবার আর্জেন্টাইন এই জাদুকরের নৈপুণ্যে নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। লিগস কাপের ফাইনালে ন্যাশভিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে মেসিদের মায়ামি।
ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচের ৪ মিনিটে দূরপাল্লার পাসে মেসি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। তবে ২৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইন্টার মায়ামিকে লিড এনে দেন মেসি। রবার্ট টেলরের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে না পারলে বল চলে আসে বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করেন মেসি। মায়ামির জার্সিতে টানা ৭ ম্যাচেই গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।
বিরতির পর ম্যাচে ফেরার জোর চেষ্টা চালায় ন্যাশভিল। মায়ামিও পেয়েছিলো ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে তা হয়ে উঠেনি। উল্টো ৫৭ মিনিটে ফাফা পিকাল্টের গোলে সমতায় ফেরে ন্যাশভিল। ৭০ মিনিটে মেসির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় মায়ামিকে। ৭৭ মিনিটে স্যাম সারিডগের শট রুখে দিয়ে মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ক্যালেন্ডার। দুই দলই একাধিক সুযোগ পেলেও নির্ধারিত সময়ে বল জালে জড়াতে পারেনি কেউই। ফল নির্ধারণের জন্য খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের প্রথম শটেই বল জালে জড়ান মেসি। নির্ধারিত ৫ শটের মধ্যে দুই দলই একটি করে শট মিস করলে ৪-৪ সমতার পর ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে ১০-৯ গোলে জয় পায় মায়ামি। তাতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার কোন শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলো দলটি। এবার তাদের লক্ষ্য এমএলএসের শিরোপা। সেই পথেও যে মেসির উপর অনেকটাই নির্ভর করবে মায়ামি, সেটি তো বলাই যায়।